বাংলাদেশ ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার কাছে বাংলাদেশের হার, অনিশ্চিত সুপার ফোরের স্বপ্ন

আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। এই পরাজয় বাংলাদেশের সুপার ফোরে খেলার সম্ভাবনাকে ঘোর অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে। ম্যাচের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েও জাকের আলী ও শামীম হোসেনের দুর্দান্ত জুটিতে লড়াই করার মতো স্কোর গড়েছিল বাংলাদেশ, কিন্তু তা জয় নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট ছিল না।

ব্যাটিংয়ে হতাশার শুরু, শেষের দিকে লড়াই
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। শ্রীলঙ্কার বোলার নুয়ান তুষারা ও দুষ্মন্ত চামিরার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম দুই ওভারে কোনো রান না করেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এমন অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য প্রথম। এই হতাশার পর দলকে কিছুটা টেনে তোলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক লিটন দাস।

তবে তাওহিদ হৃদয় রানআউট হওয়ার পর এবং মেহেদী হাসান ও লিটন দাস দ্রুত ফিরে গেলে ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দল গভীর সংকটে পড়ে। এরপর ত্রাতা হয়ে আসেন জাকের আলী ও শামীম হোসেন। তাদের ৬১ বলে ৮৬ রানের রেকর্ড গড়া অবিচ্ছিন্ন জুটির সুবাদে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৯ রান সংগ্রহ করে। জাকের ৪১* ও শামীম ৪২* রানে অপরাজিত থাকেন।

বোলিংয়ে ব্যর্থতা, শ্রীলঙ্কার সহজ জয়
জয়ের জন্য ১৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কা শুরুতেই কিছুটা চাপে পড়েছিল। মুস্তাফিজুর রহমান কুশল মেন্ডিসকে দ্রুত ফিরিয়ে দিলে কিছুটা আশার সঞ্চার হয়। তবে এরপর কামিল মিশারাকে জীবন দেন মেহেদী হাসান। এই ভুলের চড়া মূল্য দিতে হয় দলকে। পাতুম নিশাঙ্কার (৩৪ বলে ৫০ রান) সঙ্গে মিশারার (৩২ বলে ৪৬*) ৯৫ রানের জুটি শ্রীলঙ্কাকে জয়ের পথে নিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৩২ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন কামিল মিশারা।

সামনে কঠিন সমীকরণ
এই হারের পর বাংলাদেশের সামনে এখন কঠিন সমীকরণ। সুপার ফোরে যেতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কেবল জয়ই যথেষ্ট নয়, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যান্য দলের ফলাফল এবং রান রেটের দিকেও।

এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার কাছে বাংলাদেশের হার, অনিশ্চিত সুপার ফোরের স্বপ্ন

প্রকাশিত: ১২:৪৯:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। এই পরাজয় বাংলাদেশের সুপার ফোরে খেলার সম্ভাবনাকে ঘোর অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে। ম্যাচের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েও জাকের আলী ও শামীম হোসেনের দুর্দান্ত জুটিতে লড়াই করার মতো স্কোর গড়েছিল বাংলাদেশ, কিন্তু তা জয় নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট ছিল না।

ব্যাটিংয়ে হতাশার শুরু, শেষের দিকে লড়াই
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। শ্রীলঙ্কার বোলার নুয়ান তুষারা ও দুষ্মন্ত চামিরার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম দুই ওভারে কোনো রান না করেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এমন অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য প্রথম। এই হতাশার পর দলকে কিছুটা টেনে তোলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক লিটন দাস।

তবে তাওহিদ হৃদয় রানআউট হওয়ার পর এবং মেহেদী হাসান ও লিটন দাস দ্রুত ফিরে গেলে ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দল গভীর সংকটে পড়ে। এরপর ত্রাতা হয়ে আসেন জাকের আলী ও শামীম হোসেন। তাদের ৬১ বলে ৮৬ রানের রেকর্ড গড়া অবিচ্ছিন্ন জুটির সুবাদে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৯ রান সংগ্রহ করে। জাকের ৪১* ও শামীম ৪২* রানে অপরাজিত থাকেন।

বোলিংয়ে ব্যর্থতা, শ্রীলঙ্কার সহজ জয়
জয়ের জন্য ১৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কা শুরুতেই কিছুটা চাপে পড়েছিল। মুস্তাফিজুর রহমান কুশল মেন্ডিসকে দ্রুত ফিরিয়ে দিলে কিছুটা আশার সঞ্চার হয়। তবে এরপর কামিল মিশারাকে জীবন দেন মেহেদী হাসান। এই ভুলের চড়া মূল্য দিতে হয় দলকে। পাতুম নিশাঙ্কার (৩৪ বলে ৫০ রান) সঙ্গে মিশারার (৩২ বলে ৪৬*) ৯৫ রানের জুটি শ্রীলঙ্কাকে জয়ের পথে নিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৩২ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন কামিল মিশারা।

সামনে কঠিন সমীকরণ
এই হারের পর বাংলাদেশের সামনে এখন কঠিন সমীকরণ। সুপার ফোরে যেতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কেবল জয়ই যথেষ্ট নয়, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যান্য দলের ফলাফল এবং রান রেটের দিকেও।