বাংলাদেশ ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ রাতে চন্দ্রগ্রহণ : রাসুল (স) যে আমল করতে বলেছেন…

আজ রাতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এর তথ্যমতে, আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশ থেকেও এটি দেখা যাবে। চন্দ্রগ্রহণটি আজ (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ২৮ মিনিটে শুরু হয়ে পরদিন ভোর পর্যন্ত মোট ৭ ঘণ্টা ২৭ মিনিট স্থায়ী হবে।

চন্দ্রগ্রহণ ও ইসলামের শিক্ষা
ইসলামের দৃষ্টিতে চন্দ্র এবং সূর্য আল্লাহর মহিমান্বিত সৃষ্টির নিদর্শন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, “তিনিই সত্তা, যিনি সূর্যকে কিরণোজ্জ্বল ও চাঁদকে স্নিগ্ধ আলোয় আলোকিত করেছেন।” (সুরা ইউনুস: ৫)।

জাহেলিয়াতের যুগে মানুষের মধ্যে একটি ভুল ধারণা ছিল যে, কোনো বড় ব্যক্তিত্বের মৃত্যু বা জন্মের কারণে চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ হয়। কিন্তু মহানবী (সা.) এই ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁর ছেলে ইবরাহিম ইবনে মুহাম্মদের মৃত্যুর দিনে সূর্যগ্রহণ হলে তিনি বলেন, “সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয় না। কাজেই যখন তোমরা তা দেখবে, তখন আল্লাহর কাছে দোয়া করবে, তাঁর মহত্ব ঘোষণা করবে, তাকবির বলবে, নামাজ আদায় করবে এবং সদকা প্রদান করবে।” (বোখারি: ১০৪০, আবু দাউদ: ১১৭৭)।

চন্দ্রগ্রহণের নামাজ (সালাতুল খুসুফ)
চন্দ্রগ্রহণের সময় ‘সালাতুল খুসুফ’ নামে একটি নফল নামাজ আদায় করা সুন্নাত। এই নামাজ একাকী আদায় করা সুন্নাহ, তাই এর জন্য মসজিদে জামাত করে সমবেত হওয়ার প্রয়োজন নেই। এটি ফজরের নামাজের মতোই দুই রাকাত করে আদায় করা হয়, তবে এর চেয়ে বেশিও পড়া যেতে পারে। এই নামাজের জন্য আলাদা কোনো আজান বা ইকামত নেই। নামাজ শেষে গ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর জিকির, দোয়া ও মোনাজাত করতে হয়।

আজ রাতে চন্দ্রগ্রহণ : রাসুল (স) যে আমল করতে বলেছেন…

প্রকাশিত: ১০:০৭:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আজ রাতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এর তথ্যমতে, আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশ থেকেও এটি দেখা যাবে। চন্দ্রগ্রহণটি আজ (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ২৮ মিনিটে শুরু হয়ে পরদিন ভোর পর্যন্ত মোট ৭ ঘণ্টা ২৭ মিনিট স্থায়ী হবে।

চন্দ্রগ্রহণ ও ইসলামের শিক্ষা
ইসলামের দৃষ্টিতে চন্দ্র এবং সূর্য আল্লাহর মহিমান্বিত সৃষ্টির নিদর্শন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, “তিনিই সত্তা, যিনি সূর্যকে কিরণোজ্জ্বল ও চাঁদকে স্নিগ্ধ আলোয় আলোকিত করেছেন।” (সুরা ইউনুস: ৫)।

জাহেলিয়াতের যুগে মানুষের মধ্যে একটি ভুল ধারণা ছিল যে, কোনো বড় ব্যক্তিত্বের মৃত্যু বা জন্মের কারণে চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ হয়। কিন্তু মহানবী (সা.) এই ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁর ছেলে ইবরাহিম ইবনে মুহাম্মদের মৃত্যুর দিনে সূর্যগ্রহণ হলে তিনি বলেন, “সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয় না। কাজেই যখন তোমরা তা দেখবে, তখন আল্লাহর কাছে দোয়া করবে, তাঁর মহত্ব ঘোষণা করবে, তাকবির বলবে, নামাজ আদায় করবে এবং সদকা প্রদান করবে।” (বোখারি: ১০৪০, আবু দাউদ: ১১৭৭)।

চন্দ্রগ্রহণের নামাজ (সালাতুল খুসুফ)
চন্দ্রগ্রহণের সময় ‘সালাতুল খুসুফ’ নামে একটি নফল নামাজ আদায় করা সুন্নাত। এই নামাজ একাকী আদায় করা সুন্নাহ, তাই এর জন্য মসজিদে জামাত করে সমবেত হওয়ার প্রয়োজন নেই। এটি ফজরের নামাজের মতোই দুই রাকাত করে আদায় করা হয়, তবে এর চেয়ে বেশিও পড়া যেতে পারে। এই নামাজের জন্য আলাদা কোনো আজান বা ইকামত নেই। নামাজ শেষে গ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর জিকির, দোয়া ও মোনাজাত করতে হয়।