বাংলাদেশ ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাবার লাশ মর্গে রেখেও পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করল আলফি

রাজশাহীর অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিয়া আলফি (১৬) এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে, যদিও তার বাবা খুন হয়ে সেই সময় মর্গে ছিলেন। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে।

জানা গেছে, এ বছর এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ১০ এপ্রিল। ১৬ এপ্রিল রাতে রাজশাহীর তালাইমারি শহীদ মিনার এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত আলফির বাবাকে (আকরাম আলী, ৪৫) পিটিয়ে হত্যা করে, কারণ তিনি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করেছিলেন। পরদিন ১৭ এপ্রিল ছিল আলফির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা, যা অনুষ্ঠিত হয় শিরোইল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। বাবার মরদেহ তখনো মর্গে রাখা ছিল।

এ ঘটনার সময় আলফির বড় ভাই ইমাম হাসান অনন্তও হামলায় আহত হন। আকরাম আলী পেশায় একজন বাসচালক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বোয়ালিয়া থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

আলফির চাচা আশরাফুজ্জামান সোহাগ জানান, “আমরা আশা করেছিলাম সে জিপিএ-৫ পাবে। কিন্তু এমন ভয়াবহ ঘটনার পরও তাকে পরীক্ষা দিতে রাজি করানোই কঠিন ছিল। বাবার মৃত্যু, সারারাত কান্না — সবকিছু সহ্য করে সকালে তাকে অনেক বোঝানোর পর পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। সব আল্লাহর হাতে।”

তবে বিকেলে আলফিদের বাড়িতে সাংবাদিকরা গেলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বলেন, “আলফি খুব ভালো ছাত্রী। বাবার মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনার পরও সে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে। তার ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবনের সাফল্য কামনা করি।”

বাবার লাশ মর্গে রেখেও পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করল আলফি

প্রকাশিত: ১২:৩৮:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

রাজশাহীর অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিয়া আলফি (১৬) এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে, যদিও তার বাবা খুন হয়ে সেই সময় মর্গে ছিলেন। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে।

জানা গেছে, এ বছর এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ১০ এপ্রিল। ১৬ এপ্রিল রাতে রাজশাহীর তালাইমারি শহীদ মিনার এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত আলফির বাবাকে (আকরাম আলী, ৪৫) পিটিয়ে হত্যা করে, কারণ তিনি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করেছিলেন। পরদিন ১৭ এপ্রিল ছিল আলফির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা, যা অনুষ্ঠিত হয় শিরোইল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। বাবার মরদেহ তখনো মর্গে রাখা ছিল।

এ ঘটনার সময় আলফির বড় ভাই ইমাম হাসান অনন্তও হামলায় আহত হন। আকরাম আলী পেশায় একজন বাসচালক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বোয়ালিয়া থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

আলফির চাচা আশরাফুজ্জামান সোহাগ জানান, “আমরা আশা করেছিলাম সে জিপিএ-৫ পাবে। কিন্তু এমন ভয়াবহ ঘটনার পরও তাকে পরীক্ষা দিতে রাজি করানোই কঠিন ছিল। বাবার মৃত্যু, সারারাত কান্না — সবকিছু সহ্য করে সকালে তাকে অনেক বোঝানোর পর পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। সব আল্লাহর হাতে।”

তবে বিকেলে আলফিদের বাড়িতে সাংবাদিকরা গেলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বলেন, “আলফি খুব ভালো ছাত্রী। বাবার মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনার পরও সে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে। তার ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবনের সাফল্য কামনা করি।”