মৌলভীবাজার শহরের প্রধান প্রধান সড়কের বুকে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অচল রয়েছে এ নিয়ে অনেকটাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাসিন্দারা । এদিকে সেই সুযোগেই দ্রুত গতিতে বাড়ছে নানান ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।
একাধিক সুএে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরপরই, একটি পরিকল্পিত গোষ্ঠী শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভাঙচুর করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল — নজরদারিহীন পরিবেশ তৈরি করে চুরি, ছিনতাই, দখল ও সন্ত্রাস চালানো।
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের এগারো মাস পেরিয়ে গেলেও ক্যামেরাগুলোর সংস্কার হয়নি। ফলে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দেখা দিয়েছে বড় ধরনের ফাঁক।
এদিকে গত কয়েক মাসে মৌলভীবাজারে কয়েকগুণ বেড়েছে চুরি, ছিনতাই, লুটপাটসহ বিভিন্ন অপরাধ।
দিনে দিনে বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত, মোটরসাইকেলে মহড়া, অস্ত্র প্রদর্শন — যা রীতিমতো ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শহরের বেড়িরপাড়, প্রেসক্লাব পয়েন্ট, চৌমুহনা, কুসুমবাগসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্যামেরাগুলো অচল হয়ে ঝুলছে। এই সব পয়েন্টে আগে সিসিটিভি ফুটেজ থাকতো অপরাধের প্রমাণ, এখন সেখানে নেই কোনো নজরদারি।
সিসিটিভি ক্যামেরা শুধু একটি যন্ত্র নয় এটি শহরের চোখ, শহরের প্রহরী। আর এই প্রহরীগুলো যদি অচল হয়ে পড়ে, তাহলে মৌলভীবাজারের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হতেই থাকবে। এখনই সময় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ক্যামেরাগুলো সচল করে শহরের শান্তি ফিরিয়ে আনার।
এ বিষয় মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ইয়ামীর আলী বলেন, প্রশাসনেরসনের নীরব ভুমিকায় এগারো মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো মেরামত করা হয়নি শহরের সিসিটিভি ক্যামেরা গুলো। আমি আশাবাদী দ্রুত এগুলো সংস্কার করা হবে।
গণধিকার পরিষদ এর মৌলভীবাজার জেলা শাখার সহ-সভাপতি নাহিদা খানম বলেন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সিসিটিভি গুলো অচল হওয়ায় প্রতিনিয়তই অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, দ্রুত এগুলো সংস্কার করার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয় মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য বকসী মিসবাউর রহমান বলেন, শহরের নিরাপত্তার সার্থে সিসিটিভি ক্যামেরা গুলো দ্রুত সচল করা হউক, কিছুদিন আগে শহরের সুজন মিয়া নামে এক আইনজীবী কে হত্যা করা হয়, এ ঘটনার পরপরই পুলিশ সেখানকার একটা সিসি ক্যামেরা দেখে অপরাধী কে খুব সহজেই সনাক্ত করা হয়। আশাকরি শহরের নিরাপত্তার কথা চিন্তা,করে দ্রুত এগুলো সংস্কার করা হবে।
এ বিষয় জানতে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন কে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।