বাংলাদেশ ০৭:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারে হিন্দুস্তান বুলডোজার দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল’ গুঁড়িয়ে দিল বিক্ষুব্ধ জনতা

মৌলভীবাজারে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দিয়ে বানানো ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল’টি গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের শহীদ মিনার প্রাসে অবস্থিত ম্যুরালটি হিন্দুস্তান বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে উল্লাস করেন সাধারণ মানুষ। এসময় তারা ‘বাংলাদেশের জমি মুজিবের স্থান নেই’ এই স্লোগান দেন। ম্যুরাল ভাঙার দৃশ্য উৎসুক জনতা মোবাইল ফোনে দৃশ্য ধারণ করতে দেখা গেছে।

 

বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার দাবি, এই ম্যুরালটি কোনো গণদাবির ভিত্তিতে নির্মিত হয়নি। তাদের অভিযোগ, সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় করে এবং জনমতকে উপেক্ষা করে এটি অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। তারা আরও বলেন যে, “পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পিতার নামে কোনো কিছু এই বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। স্বৈরাচার হাসিনা ও তার বাবা শেখ মুজিবের চিহ্ন মুছে ফেলা হবে।”

তাদের বক্তব্যে উঠে আসে, “ভারতে বসে পতিত স্বৈরাচার দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতেছে। আমরা ছাত্রসমাজ সবসময় প্রস্তুত আছি।”

তারা আরও যোগ করেন, “মুজিবের নামে এই রাষ্ট্রে জন্ম নিয়েছে এক নতুন রাজতন্ত্র। আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই শাসন পরিণত হয়েছে নজিরবিহীন স্বৈরতন্ত্রে। যে শাসন গণতন্ত্রকে হত্যা করে, যে সরকার নিজের সমালোচনায় ছাত্রদের গুলি চালায়, হাজারো নিখোঁজ, গুম আর মিথ্যা মামলায় দেশকে ভয়ের কারাগারে পরিণত করে, সে শাসনের প্রতীক ভাঙা নৈতিক কর্তব্য।”

ট্যাগ :

মৌলভীবাজারে হিন্দুস্তান বুলডোজার দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল’ গুঁড়িয়ে দিল বিক্ষুব্ধ জনতা

প্রকাশিত: ১২:৫৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

মৌলভীবাজারে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দিয়ে বানানো ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল’টি গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের শহীদ মিনার প্রাসে অবস্থিত ম্যুরালটি হিন্দুস্তান বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে উল্লাস করেন সাধারণ মানুষ। এসময় তারা ‘বাংলাদেশের জমি মুজিবের স্থান নেই’ এই স্লোগান দেন। ম্যুরাল ভাঙার দৃশ্য উৎসুক জনতা মোবাইল ফোনে দৃশ্য ধারণ করতে দেখা গেছে।

 

বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার দাবি, এই ম্যুরালটি কোনো গণদাবির ভিত্তিতে নির্মিত হয়নি। তাদের অভিযোগ, সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় করে এবং জনমতকে উপেক্ষা করে এটি অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। তারা আরও বলেন যে, “পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পিতার নামে কোনো কিছু এই বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। স্বৈরাচার হাসিনা ও তার বাবা শেখ মুজিবের চিহ্ন মুছে ফেলা হবে।”

তাদের বক্তব্যে উঠে আসে, “ভারতে বসে পতিত স্বৈরাচার দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতেছে। আমরা ছাত্রসমাজ সবসময় প্রস্তুত আছি।”

তারা আরও যোগ করেন, “মুজিবের নামে এই রাষ্ট্রে জন্ম নিয়েছে এক নতুন রাজতন্ত্র। আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই শাসন পরিণত হয়েছে নজিরবিহীন স্বৈরতন্ত্রে। যে শাসন গণতন্ত্রকে হত্যা করে, যে সরকার নিজের সমালোচনায় ছাত্রদের গুলি চালায়, হাজারো নিখোঁজ, গুম আর মিথ্যা মামলায় দেশকে ভয়ের কারাগারে পরিণত করে, সে শাসনের প্রতীক ভাঙা নৈতিক কর্তব্য।”